Add parallel Print Page Options

ঈশ্বর তাঁর পুত্রের মাধ্যমে কথা বলেছেন

অতীতে ঈশ্বর ভাববাদীদের মাধ্যমে বহুবার নানাভাবে আমাদের পিতৃপুরুষদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এখন এই শেষের দিনগুলোতে ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আবার কথা বললেন। ঈশ্বর তাঁর পুত্রের দ্বারাই সমগ্র জগত সৃষ্টি করেছেন। তাঁর পুত্রকেই সবকিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন। একমাত্র ঈশ্বরের পুত্রই ঈশ্বরের মহিমার ও তাঁর প্রকৃতির মূর্ত প্রকাশ। ঈশ্বরের পুত্র তাঁর পরাক্রান্ত বাক্যের দ্বারা সবকিছু ধরে রেখেছেন। সেই পুত্র মানুষকে সমস্ত পাপ থেকে শুচিশুদ্ধ করেছেন। তারপর স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমার ডানপাশের আসনে বসেছেন। ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে এমন এক নাম দিয়েছেন যা স্বর্গদূতদের নাম থেকে শ্রেষ্ঠ; আর স্বর্গদূতদের তুলনায় তিনি হয়ে উঠেছেন আরো মহান।

কারণ ঈশ্বর ঐ স্বর্গদূতদের মধ্যে কাকে কখন বলেছিলেন,

“তুমি আমার পুত্র;
    আজ আমি তোমার পিতা হয়েছি।”(A)

আবার ঈশ্বর কখনই বা স্বর্গদূতদের বলেছেন,

“আমি তার পিতা হব
    আর সে আমার পুত্র হবে।”(B)

আবার তাঁর প্রথম পুত্রকে যখন তিনি জগতে নিয়ে এলেন তখন ঈশ্বর বললেন,

“ঈশ্বরের সমস্ত স্বর্গদূতরা তাঁর উপাসনা করুক।”[a]

স্বর্গদূতদের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন:

“আমার স্বর্গদূতদের আমি তৈরী করি বায়ুর মতো করে
    আর আমার সেবকদের আগুনের শিখার মতো করে।”(C)

কিন্তু তাঁর পুত্রের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন:

“হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন হবে চিরস্থায়ী;
    আর ন্যায় বিচারের মাধ্যমে তুমি তোমার রাজ্য শাসন করবে।
তুমি ন্যায়কে ভালবাস এবং অন্যায়কে ঘৃণা কর।
    এই কারণে তোমার ঈশ্বর তোমাকে পরম আনন্দ দিয়েছেন;
    তোমার সঙ্গীদের থেকে তোমায় অধিক পরিমাণে দিয়েছেন।”(D)

10 ঈশ্বর একথাও বলেছেন:

“হে প্রভু, আদিতে তুমিই পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছ;
    স্বর্গ তোমারই হাতের সৃষ্টি।
11 সেসব একদিন অদৃশ্য হয়ে যাবে; কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী।
    সেসব পোশাকের মতো পুরানো হয়ে যাবে।
12 তুমি সেসব পোশাকের মতো গুটিয়ে রাখবে;
    আর পোশাকের মতো সেগুলির পরিবর্তন হবে।
কিন্তু তোমার কোন পরিবর্তন হবে না,
    তোমার অনুগ্রহ শেষ হবে না।”(E)

13 কিন্তু ঈশ্বর স্বর্গদূতদের মধ্যে কাউকে কখনও বলেন নি:

“আমি তোমার শত্রুদের যতক্ষণ না তোমার পদানত করি,
    তুমি আমার ডানপাশে বস।”(F)

14 ঐ স্বর্গদূতরা কি পরিচর্যাকারী আত্মা নয়? আর যাঁরা পরিত্রাণ লাভ করেছে তাদের পরিচর্যা করার জন্যই কি এদের পাঠানো হয় নি?