Add parallel Print Page Options

ঐশ্বর্য সুখ বয়ে আনে না

আমি সূর্যের নীচে আরো কিছু দেখেছি যা ন্যায্য নয়। এটা লোকদের পক্ষে খুবই খারাপ। ঈশ্বর কাউকে প্রচুর ধনসম্পদ, মানসম্মান দেন। সেই ব্যক্তির যা প্রয়োজন বা চাহিদা হতে পারে সে সবই তার আছে। কিন্তু ঈশ্বর তাকে সে সব ভোগ করতে দেন না। কোন এক অপরিচিত এসে তার সমস্ত কিছু অধিকার করে নেয়। এটা খুবই খারাপ ও অর্থহীন।

একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন বাঁচতে পারে। তার 100টি সন্তান থাকতে পারে। কিন্তু সে যদি এসব নিয়ে সন্তুষ্ট না থাকে ও তার মৃত্যুর পর যদি তাকে কেউ মনে না রাখে, তবে আমার মনে হয় যে শিশু জন্ম মাত্র মারা গিয়েছে সেও এই ব্যক্তির চেয়ে ভাল। একটা মৃত শিশুর জন্ম প্রকৃতপক্ষে অর্থহীন। সেই শিশুটিকে কোন নাম দেওয়ার আগেই তাকে এক অন্ধকার কবরে সমাধিস্থ করা হয়। সেই শিশুটি কখনও কিছুই জানতে পারে না। সে কখনও সূর্যেরও মুখ দেখে না। কিন্তু সেই শিশুটিও অনেক বেশী বিশ্রাম পায় সেই ব্যক্তির চেয়ে যে ঈশ্বরের দেওয়া উপহার ভোগ করতে পারে না। সেই ব্যক্তি 2000 বছর বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু যদি সে জীবনকে উপভোগ করতে না পারে তবে যে শিশুটির জন্মমাত্র মৃত্যু হয়েছে সে আর এই ব্যক্তি কি একই স্থানে যাবে?

একজন লোক কাজ করে চলে। কেন? নিজের অন্ন সংস্থানের জন্য। কিন্তু সে কখনই সন্তুষ্ট থাকে না। এই বিষয়ে একজন জ্ঞানী ও মূর্খের মধ্যে কোন তফাৎ‌‌ নেই। এর চেয়ে একজন গরীব মানুষ হওয়াও ভাল যে জানে কিভাবে জীবনকে মেনে নিতে হয়। লাভ করবার চেয়ে নিজের যা আছে তা নিয়ে খুশী থাকা ভাল। বেশী লাভের প্রত্যাশা করা হাওয়ার পিছনে ছোটার মতোই অর্থহীন।

10-11 যা ঘটেছে তা বহু পূর্বেই স্থির হয়ে ছিল। লোকরা কে বেশী শক্তিশালী এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিতর্কের কোন অর্থ হয় না। দীর্ঘ বিতর্ক কোন কাজে লাগে না এবং এটা কি ভালো কাজ করে?

12 একজন ব্যক্তির অযোগ্য জীবনের ব্যাপ্তিতে তার পক্ষে সবচেয়ে ভালো কি তা কে জানে? তার জীবন এক ছায়ার মতো অতিবাহিত হয়। কেউ বলতে পারে না এই পৃথিবীতে পর মূহুর্ত্তে কি হবে।