Add parallel Print Page Options

বাতিদান ও দুটি অলিভ গাছ

যে দেবদূতটি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তিনি আমাকে জাগাবার জন্য আমার কাছে এলেন। সেই মুহূর্তে আমি ছিলাম ঘুম থেকে সদ্য জেগে ওঠা একজন মানুষের মত। তখন দেবদূত আমায় জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি দেখতে পাচ্ছো?”

আমি বললাম, “আমি একটি নিরেট সোনার বাতিদান দেখতে পাছি। সেই বাতিদানে সাতটি বাতি রয়েছে এবং বাতিদানের ওপরে রয়েছে একটি পাত্র। সেই পাত্র থেকে সাতটা ফাঁপা নল বেরিয়ে এসেছে এবং প্রত্যেকটি বাতিতে গিয়েছে। নলগুলি পাত্র থেকে বাতিতে তেল বহন করে। পাত্রটির পাশে দুটি অলিভ গাছ, একটি ডান দিকে, অপরটি বাম দিকে। এই গাছেরা বাতির জন্য তেল উৎপন্ন করে।” তখন আমি আমার সঙ্গে যে দেবদূতটি কথা বলছিলেন তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, “মহাশয়, এসবের অর্থ কি?”

দেবদূতটি বললেন, “এই জিনিসগুলো কি তা কি তুমি জানো না?”

আমি বললাম, “জানি না মহাশয়।”

তিনি বললেন, “এ হল সরুব্বাবিলের কাছে প্রভুর বার্তা: সর্বশক্তিমান প্রভু বলেন, ‘তোমার শক্তি ও পরাক্রম তোমায় রক্ষা করবে না। তোমার সাহায্য আসবে আমার আত্মা থেকে।’ ওহে উঁচু পর্বত, তুমি সরুব্বাবিলের কাছে কিছুই নও। তার সামনে তুমি একটি সমতলভূমির মত। সে মন্দিরটি গড়বে এবং যখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাথরটি সেখানে স্থাপন করা হবে, তখন লোকেরা চেঁচিয়ে উঠবে, ‘চমৎ‌‌কার! অপূর্ব!’”

প্রভুর বার্তা আমাকে আরো বলল, “সরুব্বাবিল আমার মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করবে। সে মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ করবে। তখন তুমি বুঝতে পারবে যে সর্বশক্তিমান প্রভু আমাকে তোমার কাছে পাঠিয়েছেন। 10 শুরুতে কাজ অল্প হলেও লোকে তাতে লজ্জিত হবে না আর তারা ওলোন দড়ি হাতে সরুব্বাবিলকে দেখে ওরা খুব খুশী হবে, যে সমাপ্ত হওয়া নির্মাণ কাজ পরীক্ষা করছে এবং মাপ-জোক করছে। পাথরের যে সাতটি ধার তুমি এখন দেখলে, তা প্রভুর চক্ষুস্বরূপ—যা সব দিকে নজর রেখেছিল। পৃথিবীর সব কিছুই তারা দেখতে পায়।”

11 তখন আমি (সখরিয়) তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, “বাতিদানের ডান ও বাম দিকের জলপাই গাছগুলি কি বোঝায়?” 12 আমি তাঁকে আরও বললাম, “সোনার নল দুটির পাশে আমি জলপাই গাছের দুটি শাখা দেখলাম। যেগুলোর মধ্যে দিয়ে সোনালী রঙের তেল বইছে—সেগুলিরই বা অর্থ কি?”

13 তখন দূত আমাকে বললেন, “তুমি কি জানো না এসবের অর্থ কি?”

আমি বললাম, “মহাশয় জানি না।”

14 তিনি বললেন, “এর অর্থ হল এরা সেই দুই ব্যক্তিকে যারা সমস্ত পৃথিবীর প্রভুকে সেবা করার জন্য মনোনীত হয়েছে, তাদের প্রতিনিধিত্ব করছে।”